বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৬ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ২৭৪ জন নার্স (নারী পুরুষ) যোগদান করেছে। এতে জেলা সদর হাসপাতালে সহ উপজেলার হাসপাতাল গুলোতে সেবার মান বাড়বে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে তদবির করে যেন কেউ যেন দ্রুত বদলী হতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে,গত কয়েক সপ্তাহর মধ্যে কক্সবাজার জেলায় নতুন করে বিভিন্ন হাসপাতালে ২৭৪ জন নতুন নার্স যোগদান করেছেন। তার মধ্যে চকরিয়ায় ৩ জন,পেকুয়ায় ৫ জন,কুতুবদিয়ায় ২০ জন,মহেশখালীতে ১৩ জন,রামুতে ১০ জন,উখিয়ায় ৬ জন, এবং টেকনাফে ২০ জন। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে,কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হিসাবে ১৯৭ জন নতুন নার্স যোগদান করেছেন। এর মধ্যে ৩৭ জন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের পদায়ন,বাকি গুলো কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পদায়ন তবে তারাও জেলা সদর হাসপাতালে কাজ করবে।
এ ব্যাপারে ৭ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে কর্তব্যরত নার্স নিলুফা এবং মুজিবুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা গেছে,তারা এবারে নতুন নার্স হিসাবে সরকারি ভাবে নিয়োগ পেয়ে কক্সবাজারে কাজ করতে এসেছেন। এখানে পরিবেশ খুবই ভাল,তারা বলেন,অতীতে আমার আরো বেশি রোগি নিয়ে কাজ করে এসেছি,তাই এখানে তেমন সমস্যা হচ্ছে না। এখানে কাজ করতে বেশ ভালই লাগছে। তবে আবাসন নিয়ে একটু সমস্যায় আছি।
এ সময় ভর্তি রোগি আবুল কালাম এবং শরিফ উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা গেছে,এর আগেও ভর্তি ছিলাম এত নার্স এবং ব্রাদার আগে দেখিনি। এখন অনেক নার্স এবং ব্রাদার দেখছি। তারা বেশ ভাল ভাবেই আমাদের সেবা করছে,এতে আমরা বেশ খুশি।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: এনামুল হক বলেন,এখানে নতুন করে ২০ জন নার্স যোগদান করেছেন। এতে পুরু হাসপাতালের সেবার মান অনেক বেড়ে গেছে। আসলে মানুষের প্রত্যাসা পূরণে নার্সের ভুমিকা অনেক বেশি। এখন মানুষ ভাল সেবা পাচ্ছে আমি আসা করি এটা অব্যাহত থাকলে হাসপাতালে সেবার মান অনেক বাড়বে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন নার্স নিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ একই সাথে আশংকাও প্রকাশ করেছেন সুজন জেলা সহ সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম তিনি বলেন,আমরা অতীতে দেখেছি সরকার ঠিকই ডাক্তার নার্স নিয়োগ দেয় কিন্তু তারা তদবির করে দ্রুত কক্সবাজার থেকে চলে যায়। এতে আবারো পদশূন্য হয়। মানুষ সেবা বঞ্চিত হয়। আমরা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবী করবো যাতে অন্তত ৩ বছরের মধ্যে কোন বদলী যাতে সরকার না করে। কোন তদবির বানিজ্য যাতে না হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র ডাক্তার বলেন,কক্সবাজারে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগই উত্তর বঙ্গের লোকজন। তারা কয়েক মাস পরেই বদলীয় জন্য তদবির শুরু করবে। আর বাংলাদেশে সব কিছু টাকা দিলে সম্ভব এটা চিরন্তন সত্য। তাই আমি মনে করি সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারনে ঠিকই সেবা বঞ্চিত হবে কক্সবাজারের মানুষ। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
ভয়েস/জেইউ।